আগের মতো না হলেও দেশে এখন মোবাইল ফোর-জি ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু আছে। তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও টিকটক বাংলাদেশে ব্যবহার বন্ধ রয়েছে, সেটা ঘোষণা দিয়েই। অর্থাৎ জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় বাংলাদেশ থেকে ‘সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’। তবে অসাধারণদের প্রবেশাধিকার রয়েছে ফেসবুকে।
গত রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর পরপরই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া শুরু করেন। তিনি প্রতিনিয়তই নিজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য ফেসবুকে পোস্ট করে আসছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আয়োজনের সরাসরি সম্প্রচারও করছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামেও তিনি সক্রিয় রয়েছেন। তাঁর ভেরিফায়েড টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি পোস্ট করছেন।
শুধু জুনাইদ আহ্মেদ নন, ফেসবুকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সরকার–সমর্থক অনেককে। সাধারণ মানুষের জন্য ফেসবুক বন্ধ, তবে প্রতিমন্ত্রীসহ কিছু ব্যক্তি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন, যা নিয়ে সাধারণের মধ্যে সমালোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে গত শনিবার রাতে জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, গুজব প্রতিরোধে মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন। তিনিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করলে এবং দেশের আইন মেনে চললে তাদের প্ল্যাটফর্ম দেশে উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী সবার জন্য ফেসবুক বন্ধ করে নিজে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। আবার তিনি বলছেন (ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি) বাংলাদেশের সংবিধান, আইন মানবে কি না এবং নিজেদের যে গাইডলাইন আছে, সেটা ঠিকমতো মেনে চলবে কি না, এসব নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা যদি এসে ব্যাখ্যা দিয়ে যায়, তখন সরকার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসবে।